যশোর প্রতিনিধি: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের একটি কলেজের ২৭ পরীক্ষার্থীর খাতায় ভিন্ন ভিন্ন হাতের লেখা ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়ায় তাদেরকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে যশোর বোর্ড।
বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২৭ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তারা আগামী ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয় মে মাসে। ফলাফল প্রকাশ হয় ১৭ জুলাই। ফলাফল প্রকাশের আগে বোর্ডের অধীন খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী স্কুল এন্ড কলেজের ২৭ পরীক্ষার্থীর খাতায় ভিন্ন ভিন্ন হাতের লেখা ব্যবহার করায় তাদের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়।
এ সময় বোর্ডের পরীক্ষকবৃন্দ বার বার নিরীক্ষণ দেখতে পান যে, ওই ২৭ পরীক্ষার্থীর খাতায় ভিন্ন ভিন্ন হাতের লেখা ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আলিমকে জানালে তিনি ২২ আগস্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বোর্ডের সচিব আলী আল রেজাকে আহ্বায়ক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র এবং কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর কে এম রব্বানীকে সদস্য করা হয়। এ কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর আলি আর রেজা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর কে এম রব্বানী, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ, সরকারি এম এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফসার আলী, প্রফেসর নমিতা রানী বিশ্বাস, প্রাক্তন অধ্যাপক প্রফেসর নুরুজ্জামান, খুলনার কপিলমুনি কলেজের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আফসার আলী প্রমুখ।
সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে রাড়ুলী স্কুল এন্ড কলেজের ২৭ পরীক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ২৭ পরীক্ষার্থী ২০২০ সালেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।